জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্র জানায়, জেলায় ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন হয়েছে ৯৮ হাজার ৪০৪ মেট্রিকটন। ২০১৬-১৭ বছরে ১ লাখ ২৯ হাজার ৫৫৮ মেট্রিক টন। ১৭-১৮ অর্থবছরে ১ লাখ ৩১ হাজার ৭৩৯ মেট্রিক টন। ১৮-১৯ বছরে ১ লাখ ৩০ হাজার ৮৯২ মেট্রিকটন। ১৯-২০ অর্থবছরে ১ লাখ ৭১ হাজার ২৬৮ মেট্রিক টন। ২০-২১ বছরে উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৩৯০ মেট্রিক টন ও ২১-২২ অর্থবছরে উৎপাদন হয়েছে ১ লাখ ৭৮ হাজার মেট্রিক টন।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাতউল্লাহ এবিসিওয়ার্ল্ডনিউজ২৪কম’কে জানান, ভোলা জেলায় গত কয়েক বছর যাবত ইলিশের উৎপাদন বেড়ে চলছে। মূলত মা ইলিশ ও জাটকা ইলিশ রক্ষা, ইলিশ অভায়শ্রম সংরক্ষণ, নদীতে বিশেষ অভিযান ও ৬৫ দিন সমুদ্রে অভিযান সফলভাবে বাস্তবায়নের প্রভাব পড়েছে ইলিশ উৎপাদনে।
তিনি জানান, জেলেরাও পূর্বের চেয়ে এখন অনেক সচেতন হয়েছে। তারা সরকারের নিষেধাজ্ঞার সময় জাটকা ও মা ইলিশ শিকার থেকে বিরত থাকছেন অনেকটাই। এতে করে ইলিশ নির্বিঘেœ ডিম ছাড়তে ও ছোট ইলিশ বড় হতে পারছে। ফলে ইলিশের প্রাচুর্যতা বাড়ছে।
এদিকে চলতি বছর ইলিশের ভরা মৌসুমে কাঙ্খিত ইলিশের দেখা মিলছেনা জেলেদের জালে। এর জন্য পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়া ও নদী মোহনায় পলি পরে ভরাট হওয়াকে দায়ী করছে মৎস্য বিভাগ। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের ফলেও ইলিশ মৌসুম অনেকটাই পরিবর্তন এসেছে। তবে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এ খরা কেটে যাবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্টরা।
এছাড়া মা ইলিশের ডিম দেওয়ার সময় চলে এসেছে। এ সময়টাতে ডিম ছাড়ার জন্য সাগর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ নদীতে আসে। গত কয়েক বছর যাবত দেখা যাচ্ছে শীতের সময়টাতেও প্রচুর ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে।
সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো: জামাল হোসেন বলেন, গত বছরেও ইলিশের প্রাপ্তিটা মৌসুমের শেষের দিকে হয়েছে। তাই আশা করা হচ্ছে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বৃষ্টিপাত বাড়বে। বৃষ্টিতে নদ-নদীর পানি বাড়ার সাথে কাঙ্খিত ইলিশও ধরা পড়বে জেলেদের জালে। সব কিছু ঠিক থাকলে ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।